নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কাউছার চৌধুরী লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:-
লক্ষীপুর মানুষের প্রাণের দাবি নৌ-পথে লক্ষীপুর থেকে ঢাকা যাওয়া- আসার জন্য লঞ্চ সার্ভিস চালু করতে বহুদিন ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। অবশেষে সেই আন্দোলনটি সম্পূর্ণ ভাবে বাস্তবতা রূপান্তরিত হয়েছে।
আজ ১৫/১১/২০২১ ইং রোজ সোমবার দুপুর তিনটায় বিআইডব্লিউটিএ নৌ ট্রাফিক বিভাগের সম্মানিত পরিচালক রফিকুল ইসলাম বিলাস বহুল লঞ্চ “এমভি রাসেল-৩” নামক লঞ্চটি লাল ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন লঞ্চের মালিক জামাল হোসেন, ঢাকা টু লক্ষ্মীপুর লঞ্চ চাই পরিষদের আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান, পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য , আফজাল হোসেন অনিক, রেদওয়ান উল্লাহ খান সহ বিআইডব্লিউটিএ এবং বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
আব্দুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, আজকের এই শুভক্ষনে আমরা লক্ষীপুরবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিআইডব্লিটিএ নৌ ট্রাফিকের ডাইরেক্টর রফিকুল ইসলাম, লক্ষীপুরের মাননীয় সংসদ সদস্য শাহজাহান কামাল সহ সংশ্লিষ্ট সবার নিকট বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আমি আরো বেশি করে ধন্যবাদ দিতে চাই লক্ষীপুরের সকল সাংবাদিক বন্ধুগণকে কারণ আপনারা দীর্ঘদিন ধরে লঞ্চ সার্ভিস নিয়ে লেখালেখি না করলে ও সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে লঞ্চ চাই পরিষদের পাশে না থাকলে আমাদের পক্ষে এই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না সেজন্য আপনাদের সবার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সময় সূচী: প্রাথমিক ভাবে একটি লঞ্চ প্রতিদিন ঢাকার সদরঘাট থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে মজুচৌধুরীরহাট ঘাটের উদ্দেশ্যে এবং প্রতিদিন সকাল ৭টায় মজুচৌধুরীরহাট ঘাট থেকে সদর ঘাটের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করবে । আজ লঞ্চটি চর রমনী মোহন আসার পর মাঝ নদীতে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের সাথে রুট নিয়ে আলোচনা ও দেখানো পথে চলার কারণে সঠিক সময় নির্ধারণ করা যায়নি। তবে আগামী ২দিন পর ঢাকা-লক্ষ্মীপুর রুটে কত সময় লাগবে তা জানাবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নদী পথে লঞ্চ চালু থাকলে ব্যাবসায়িক যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ লক্ষ্মীপুরে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটবে। বলে মনে করে সাধারণ মানুষ।
Leave a Reply